অস্ট্রেলিয়ায় জীবন ও বন বাঁচাতে কাজ করছেন অভিবাসীরা

অস্ট্রেলিয়ার অনেক অভিবাসী সেখানকার অগ্নিনির্বাপণ বিভাগে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার কৃতজ্ঞতা থেকেই দেশটির মানুষের জীবন ও বনাঞ্চল বাঁচানোয় এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। আর জনবল সংকটের মধ্যে অভিবাসীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পেয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের অগ্নিনির্বাপক বিভাগ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। তবে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় আসা অনেকে দেশটিতে বসবাসের সুযোগ পান। ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়া বসবাসের সুযোগ পান প্রায় ১০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।
জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া বেশিরভাগ অভিবাসীরই আশ্রয় হয়েছে মেলবোর্নের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে। বনাঞ্চল ঘেরা এসব অঞ্চলে অগ্নিনির্বাপণকর্মীর স্বল্পতা আছে। তাই দাবানলে জরুরি ভিত্তিতে জনবলের প্রয়োজনে অভিবাসীদের অনেককেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
নোবেল পার্ক ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মী টেরেন্স স্ট্যানফোর্ড বলেন, পাঁচ বছর আগেও এখানে মহড়া চালানোর মতো লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। মাত্র ১২ জন সদস্য ছিল তাঁদের। এর পরিবর্তন করা প্রয়োজন ছিল। বর্তমানে ৫২ জন স্বেচ্ছাসেবক নোবেল পার্ক ফায়ার সার্ভিস বিভাগে কাজ করছেন, এদের অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী।
নাগরিকত্ব পাওয়ায় অভিবাসীদের অনেকেই কৃতজ্ঞতা থেকে অগ্নিনির্বাপক বিভাগে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তেমনই একজন আব্বাস আবদুল্লাহী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকার আমাকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। এ থেকে আমার মনে হয়েছে দেশটির জন্যও কিছু করা উচিত।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বর্তমান অস্ট্রেলিয়ার নীতি অভিবাসীদের দেশে ঢুকতে না দেওয়া। তবে অনেকক্ষেত্রেই দেশটির নীতি নির্ধারকরা অভিবাসীদের অবদানের কথা ভুলে যান।