কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ছাড়া আঞ্চলিক শান্তি সম্ভব নয় : পাকিস্তান

জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার অভিযোগ করেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার পর ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সোমবার (৫ মে) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত ইফতিখার গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে বলেন, ‘সত্তর বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কাশ্মীর বিরোধ আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
ইফতিখার জোর দিয়ে বলেন, ‘কাশ্মীর বিরোধ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রধান সমস্যা এবং এর সমাধান কাশ্মীরি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে হওয়া উচিত।’
ইফতিখার আরও বলেন, ‘কাশ্মীরি জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই মূল সমস্যার সমাধান না হলে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তিও প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।’
জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাষ্ট্রদূত ইফতিখার দাবি করেন, ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা এখনও নিপীড়ন ও নৃশংসতার শিকার হচ্ছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, ইসলামাবাদ বারবার বলেছে এবং আবারও জানাচ্ছে যে, পেহেলগাম ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
আসিম ইফতিখার পুনর্ব্যক্ত করেন, এই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাগুলোর অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে।
ইফতিখার বলেন, পাকিস্তান তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যেকোনো সমস্যার সমাধানে সংলাপকে অগ্রাধিকার দেয়, কারণ সংলাপই শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ।
এ ছাড়াও, রাষ্ট্রদূত ইফতিখার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।