মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল’ কর ও ব্যয় বিল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। এই বিলটি গত সপ্তাহে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে অল্প ব্যবধানে পাস হয়। বিলটিতে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের কর ছাড় ও প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি এখন সিনেটে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। খবর বিবিসির।

২০২৪ সালের পুনঃনির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে সহায়তা করেছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যয় কমানোর ‘জার’ (Tsar) হিসেবেও কাজ করেছিলেন।

তবে সম্প্রতি বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের হতাশার কথা জানান মাস্ক। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের জন্য তার করা কাজকে ‘দুর্বল করে’ দিতে পারে।

সিবিএস ‘সানডে মর্নিংয়ের’ একটি সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই বিশাল ব্যয় বিল দেখে আমি হতাশ হয়েছি। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা বাজেট ঘাটতি কেবল হ্রাস করবে না, বরং বাড়িয়ে দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আইন পরবর্তী অর্থবছরে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতি বাড়িয়ে দিতে পারে।’

মাস্ক আরও উল্লেখ করেন, এই বিলটি সরকারের দক্ষতা বিভাগ ডোজের (ব্যয় কমানোর একটি উপদেষ্টা সংস্থা) কাজকে দুর্বল করে দেবে।

বিলটির জন্য ট্রাম্পের দেওয়া নামের ব্যঙ্গ করে মাস্ক বলেন, ‘আমার মনে হয়, একটি বিল বড় হতে পারে অথবা সুন্দর হতে পারে। আমি জানি না, এটি উভয়ই হতে পারে কিনা।’

মাস্কের এই মন্তব্য ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে কর ও ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে চলমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে। এই পরিকল্পনাটি দলের বিভিন্ন অংশের বিরোধিতার কারণে হাউসে পাস হওয়া খুব একটা সহজ হয়নি।

গত বছর ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি ‘ডোজ’ থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেন এবং ভবিষ্যতে ‘অনেক কম’ রাজনৈতিক ব্যয় করার পরিকল্পনার কথা জানান। মাস্কের এই মন্তব্যের ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ক্রমবর্ধমান দূরত্বের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।