ফ্রান্সে মোবাইল অপেরা হাউস

ফ্রান্স সরকারের সহায়তায় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের জন্য মোবাইল অপেরা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে যারা কোনোদিন অপেরায় যাননি তারা বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় পর সাঁ-লুই ডু রোন শহরে প্রায় ৯ হাজার মানুষ বাস করেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে শোভিত এলাকাটিতে আছে বিশাল লবণাক্ত সমভূমি। তবে সংস্কৃতি উপভোগের খুব বেশি সুযোগ নেই। সেখানে সম্প্রতি মোবাইল অপেরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ফাব্রিস জার্ভেইস দেড়দিনের মধ্যে একটি মোবাইল অপেরা হাউস বানিয়েছিলেন। এই হাউসে প্রায় ১০০ জন বসতে পারেন।
এই ধরনের অপেরা প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছে ‘লিও অপেরা'। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে অপেরা পৌঁছে দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য। কারণ তারা মনে করে এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও যে কারো মতোই সংস্কৃতি উপভোগের অধিকার রয়েছে। প্রকল্পটি সরকারিভাবে অর্থায়ন করা হয়, তাই বিনামূল্যে অপেরা দেখা যায়।
লিও অপেরার পরিচালক রিশার ব্রুনেল বলেন, ‘আমরা চাই মানুষ আমাদের কাছে আসুক কারণ তারা অসাধারণ কিছুর অংশ হতে চান। যেমন তাদের মনে হতে পারে: ‘দেখিতো আমার শহরে, আমার পাড়ায় কী হচ্ছে? আমার কি এটা দেখা উচিত?' এটি করার জন্য আমাদের সমসাময়িক শিল্প ও জনসাধারণের মধ্যে থাকা বাধাগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। এবং এটা সব সামাজিক শ্রেণির মানুষের জন্য করা দরকার।’
অপেরা গায়ক এলোইজ পুলে বলেন, ‘আমি যতটা সম্ভব স্পষ্টভাবে গান গাওয়ার চেষ্টা করি, কারণ, এই দর্শকরা অপেরা দেখতে অভ্যস্ত নন, বিশেষ করে সমসাময়িক অপেরা।’
আরেক অপেরা গায়ক গিয়ুম অন্দ্রেঁয়ু বলেন, ‘এটা এক ধরণের চেম্বার অপেরা, যার কোনো কন্ডাক্টর নেই। সে কারণে এটি পরিবেশন করা চ্যালেঞ্জিং৷ আমাদের নিজেদেরই একে অপরকে ইশারার মাধ্যমে বার্তা দিতে হয়৷ খুব ঘনিষ্ঠ এক পরিবেশ৷ শ্রোতারা খুব কাছে থাকেন।’
কাছ থেকে অপেরা উপভোগ দর্শকদের মনে বেশ প্রভাব ফেলে। তারা এটি উপভোগ করেন।
পর সাঁ-লুই ডু রোন এর ডেপুটি মেয়র ফ্রঁসোয়াস ব্রাসিনি বলেন, ‘পর সাঁ-লুইয়ের অনেকেই কখনও অপেরায় যাননি। কারণ, আমাদের এলাকাটি একটু বিচ্ছিন্ন৷ কামার্গ আর রোন ডেল্টার মাঝখানে আমরা বাস করি। তাই এটা একটা অনন্য সুযোগ, যা কারও হাতছাড়া করা উচিত নয়।’