সজীব হত্যা : যুবলীগের দুই পক্ষের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

খুলনা মহানগরীর মুরাদনগর এলাকায় ইমরান সজীব আকন হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় নিরাপত্তার কারণে তাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
আজ বুধবার বিকেলে মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় সভা ডেকেছিল দুটি পক্ষ। সকালেই সেখানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কেএমপির মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় ১৯৮৫ সালের কেএমপি অধ্যাদেশের ৩০ ধারা অনুযায়ী গল্লামারী এলাকায় সকল প্রকার সভা-সমাবেশ নিযিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
গত ১৯ জুন গল্লামারীর মুহাম্মদনগর এলাকায় ইমরান হোসেন সজীবকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সজীবের পরিবারের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা সজীবের কাটা হাত নিয়ে উল্লাস করে রাস্তায়।
এ ঘটনায় সজীবের বাবা নজরুল ইসলাম আকন বাদী হয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমানকে হুকুমের আসামি করে মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হরিণটানা থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরাও স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মী।
মহানগর যুবলীগের সদস্য শেখ হাফিজুর রহমানকে হত্যা মামলার আসামি করায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানান। এরপর যুবলীগের একটি অংশ পিকচার প্যালেস মোড় এলাকায় হাফিজুরকে হত্যা মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করে।
আজ বিকেলে হাফিজের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে গল্লামারী এলাকায় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশের ডাক দেন।
পাশাপাশি একই স্থানে যুবলীগের আরেকটি অংশ ইমরান হোসেন সজীবের হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ আহ্বান করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেএমপি ওই এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এ দিকে যুবলীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমানের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে, তারা আগের সমাবেশস্থল থেকে সরে এসে গল্লামারী মসজিদের সামনে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় বিকেলে সমাবেশ করবে।