প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে শবনম ফারিয়ার। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘দেবী’ ছবিতে নীলু চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। জয়া আহসানের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। ‘দেবী’ মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। এরপর বদলে গেছে ফারিয়ার সময়। সেসব নিয়েই এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রী।

এনটিভি অনলাইন : জীবন তো পাল্টে গেল। কেমন উপভোগ করছেন?

শবনম ফারিয়া : আনন্দঘন সময় কাটছে। সবচেয়ে বড় কথা, আশপাশের সবাই এখন আমাকে নীলু বলে ডাকছে। আমার কিন্তু মন্দ লাগছে না। নীলুর সঙ্গে আমার বাস্তবে একেবারে মিল নেই। তবে নীলু হয়ে অভিনয় করতে ভালোই লেগেছে। এতটা সাড়া পাব, এটা অবশ্য ভাবিনি।

এনটিভি অনলাইন : হুমায়ূন আহমেদের আর কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছে করে কি?

শবনম ফারিয়া : লীলাবতী ও মৃন্ময়ী হতে ইচ্ছে করে। কী যে সুন্দর এই দুটো চরিত্র! আমি তো একবার মেহের আফরোজ শাওন আপুকে বলেছি, ‘আমি লীলাবতী চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।’

এনটিভি অনলাইন : ‘দেবী’র কোন দৃশ্য করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

শবনম ফারিয়া : শেষ দৃশ্য। আমার হাতে শিকল বাঁধা ছিল। পরপর দুদিন এই দৃশ্যের শুটিং ছিল। আমার ঘাড় ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। হাতেও আঘাত পেয়েছিলাম। ছবির এই দৃশ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খুব মনোযোগ দিয়েই শুটিং করতে হয়েছিল।

এনটিভি অনলাইন : শুটিংয়ের আগে বাড়তি কোনো প্রস্তুতি ছিল?

শবনম ফারিয়া : শুটিংয়ের আগের দিন সেট দেখানো হয়েছিল আমাকে। সেট দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে লোকেশন ও শুটিং সেট আগে দেখাতে অভিনয় করতে সুবিধা হয়েছে।

এনটিভি অনলাইন : অনেক সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছেন, জয়া আহসান আপনার আইডল। প্রযোজক জয়া আহসানকে কেমন লাগল?

শবনম ফারিয়া : প্রযোজক হিসেবেও জয়া আপু পারফেক্ট। তিনি আমাকে খুব সুন্দরভাবে গাইড করেছেন। যেহেতু আমি আগে কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি, তাই ছবি-সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এমনকি ‘দেবী’ প্রচারের সময় আমি কীভাবে সাজব, কী বলব, এসব বিষয়েও জয়া আপু পরামর্শ দিয়েছেন, যা আমার খুব কাজে লেগেছে।

এনটিভি অনলাইন : শেষ প্রশ্ন। কাজ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

শবনম ফারিয়া : অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করতে চাই। এখন ভালো মানের চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় আছি। এমন কিছু চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যা মানুষের মনে দাগ কাটবে। মনে রাখবে অনেক দিন।