স্বামীর মৃত্যুর দায় মেয়েদের উপরই বর্তায়, বিয়ের আগে কেন এই উপলব্ধি ঋতাভরীর?

টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী বিগত কয়েক বছরে একের পর এক এমন সিনেমাতে কাজ করেছেন যেখানে নারী চরিত্রটি বেশ শক্তিশালী। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করেছেন তিনি। সেই চরিত্রগুলোর প্রভাব পড়ে কিনা তার উপর? এমন প্রশ্নে কী জানালেন অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে চরিত্রগুলোতে তিনি অভিনয় করেন সেটার প্রভাব তার উপর পড়ে কিনা। তার কথায়, বহুরূপী সিনেমার পরী হোক বা ফাটাফাটি সিনেমার ফুল্লরা দুই নারীর যন্ত্রণা তিনি অনুভব করতে পারতেন, তার মন খারাপ হতো। আবার এও জানিয়েছেন তার আসন্ন দুই সিনেমার চরিত্র নন্দিতা বা বৃষ্টির কষ্টও তাঁর মনে প্রভাব ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, ঋতাভরী চক্রবর্তী সুমিত অরোরার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে তাদের বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তাড়াতাড়ি বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে। তার আগে তার যে দুটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে-তার একটি হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘শাখাপ্রশাখা’ অন্যটি মৈনাক ভৌমিকের ‘বাৎসরিক’ সিনেমায়। এই দুইটি সিনেমাতেই তাঁর চরিত্র বিধবার।
এটা নিয়ে কী তার পরিবারের তরফে কিছু বলা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন, তিনি যে বিশ্বাস করেন জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। এটা ধ্রুব সত্য বলে মনে করেন তিনি। তাই এসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেননি। তবে তিনি এটা উপলব্ধি করেছেন যে, 'আগে আমাদের দেশে ১০-১২ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। বিয়ের পর তাঁরা বিধবা হতো, কখনও জ্বালিয়ে দেওয়া হতো সতীদাহ‘র নাম করে। আমরা যদি এগুলো ফিরে দেখি, তবে বলবো শিক্ষা আমাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।’
তাঁর আসন্ন দুই সিনেমাতে বিধবা চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি বুঝেছি বিধবার রকমফের আছে। কেউ স্বামী মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তি পেয়ে বড়লোক হয়, আর কেউ আত্মীয়দের কাছে এক ঘরে হউন। এখনও স্বামী মারা গেলে সেটার দায় মেয়েদের কাঁধেই বর্তায়।’