‘মা’ শব্দটির মতো আপন, উষ্ণ ও হৃদয়ছোঁয়া শব্দ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। জন্মের পর মানুষের মুখে এ শব্দই বেশি উচ্চারিত হয়। আজ রোববার (১১ মে) বিশ্ব মা দিবস পালিত হচ্ছে। যদিও মায়ের জন্য দিবসের প্রয়োজন হয় না। বলা যায় প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রতিটি দিনই মা দিবস। তবে বিশ্ব মা দিবসে মায়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই দিনটিতে মায়ের জন্য বিশেষ কিছু করে থাকে সন্তানরা, প্রকাশ করেন মায়ের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা। কিন্তু এই দিবসটি কীভাবে এলো? কেন পালন করা হয় এ মা দিবস? 

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়।

দিনটি পালনে রয়েছে বিশেষ এক ইতিহাস। ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি কাজ করতেন নারী অধিকার নিয়ে। ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন তিনি।

অ্যানের একটি কন্যাসন্তান ছিল, যার নাম আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস। একদিন ছোট্ট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন, ‘আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ, মায়েদের জন্য একটা দিন উৎসর্গ করুক। কারণ তারা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।’

মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় আনার। পরে অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারা বিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন আনা মারিয়া। এর পর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে মা দিবস।

১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস হিসাবে উদযাপন করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ।