মায়াবী সন্ধ্যা নদী

ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। বরিশালের প্রতিটি এলাকায় জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট বড় অসংখ্য নদী। তেমনই একটি নদী সন্ধ্যা। আড়িয়াল খাঁ থেকে সন্ধ্যা নদীর উৎপত্তি হয়ে উজিরপুর-বানারীপাড়া হয়ে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার কঁচা নদীতে পতিত হয়েছে।

প্রায় ৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীটি হাজারো মানুষের জীবন জীবিকার উৎস। সন্ধ্যা নদীর মায়াবী দৃশ্য যে কারো মন কেড়ে নেয়। কবি শঙ্খ ঘোষের স্মৃতি বিজড়িত এই নদী। নদীর মায়াবী রূপে মুগ্ধ হয়ে কবি লিখেছিলেন "সন্ধ্যা নদীর জলে" নামক বই। এক সময় শত শত মাঝির নৌকা ও খেয়া নৌকায় সন্ধ্যা নদী মুখরিত ছিল। কালের বিবর্তনে সেই পালতোলা নৌকা কালের গর্বে হারিয়ে গিয়েছে।

সন্ধ্যা নদীর রয়েছে মানুষকে মুগ্ধ করার এক অলৌকিক ক্ষমতা। এখনো সন্ধ্যা নদীর তীরে সূর্যাস্ত দেখতে গোধূলি লগ্নে ভীড় করে হাজারো মানুষ।
সন্ধ্যা নদীর ইলিশ সারা দেশে খুবই বিখ্যাত। এই অঞ্চলে নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও মৎস্য আহরণের জন্য সন্ধ্যা নদী একমাত্র ভরসা। প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার ভাসমান ধান-চালের হাট বসে। সন্ধ্যা নদীকে কেন্দ্র করে ধান-চালের কুঠিয়াল ব্যবসা প্রচলিত আছে। এই নদীতে ঢাকার সাথে সরাসরি লঞ্চে যোগাযোগ আছে। বাংলার শস্য ভান্ডার বরিশালের পণ্য ঢাকায় পরিবহনের জন্য এই লঞ্চগুলো ব্যবহৃত হয়।