জেমস বন্ডের ছবি সম্বন্ধে যাঁরা সামান্য ধারণাও রাখেন, তাঁরাও জানেন, জেমস বন্ডের প্রতিটি যাত্রায় নারী এক অচ্ছেদ্য অধ্যায়। রমণীমোহন বন্ডের প্রতি নারীদের অমোঘ আকর্ষণ, আর বন্ডও সেই আকর্ষণে সাড়া দিতে কার্পণ্য করেন না মোটেও, এটাই তো জেমস বন্ড! পর্দায় এর উত্তাপ সেই ‘ডক্টর নো’ যুগ থেকেই দেখে আসছেন দর্শক। সেই উত্তাপ সেন্সর বোর্ডের কাঁচি চালিয়ে ‘কমিয়ে’ ফেলার মতো কাজ করে বসলে বন্ডভক্তরা তো চটবেনই। এনডিটিভির খবরে জানা গেল, ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের এই ‘সৃষ্টিশীল’ কাজে বিরক্ত হয়ে চেতন ভগত, শিরিশ কুন্দর, অশোক পণ্ডিতের মতো সেলিব্রিটিরাও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

জেমস বন্ডের নতুন ছবি ‘স্পেক্টর’ বন্ডের বিপরীতে রয়েছেন তিন নারী। তাঁদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে বন্ডের। সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যকে একেবারে কেটে ফেলে না দিলেও ‘অর্ধেক’ ছেঁটে দিয়েছে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড (সিবিএফসি)। সেই সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ফেলে দেওয়া হয়েছে সংলাপ থেকে। এই সম্পাদনার মাধ্যমে ছবিটিকে ‘ইউ/এ’ রেটিং দেওয়া হয়েছে। আজই ভারতে মুক্তি পেয়েছে এই কাটছাঁট করে ফেলা ‘স্পেক্টর’!

লিয়া সেদ্যু ও মনিকা বেলুচ্চির সঙ্গে চুম্বন-দৃশ্য নাকি অতিরিক্ত লম্বা-  এমনই মতামত সিবিএফসির! এ কারণে এই দৃশ্যগুলো ৫০ শতাংশ ছেঁটে ফেলেছে সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান পেহলাজ নিহালনির কাছে জানার চেষ্টা করেছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস, তবে পেহলাজ এর কোনো উত্তর দেননি।

জেমস বন্ডের ছবিতে এভাবে কাঁচি চালানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতীয় দর্শকদের বিশাল অংশ। গতকাল থেকে টুইটারে জেমস বন্ডরূপী ড্যানিয়েল ক্রেগের ছবিতে ট্রল করে হাসিঠাট্টা শুরু হয়ে যায় ফেসবুক-টুইটারে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সেন্সর বোর্ডকে কটাক্ষ করা। এ বিষয়ে সেন্সর বোর্ড থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এটি ড্যানিয়েল ক্রেগের চতুর্থ ছবি। এই ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন ক্রিস্তোফ ওয়াল্টজ, লিয়া সেদ্যু, মনিকা বেলুচ্চি, রালফ ফিনেসের মতো তারকাদের।