ব্যথানাশক ওষুধে নারীর গর্ভধারণে ঝুঁকি

যেসব তরুণী নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করেন, তাঁদের জন্মদানক্ষমতা বা উর্বরতা কমে যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ যেমন এনএসএআইডি (ননস্টেরোয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি ড্রাগস)- এ ধরনের ওষুধ নারীর প্রজননের জন্য হুমকি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি জানিয়েছে এই তথ্য।
গবেষকরা বলেন, জনপ্রিয় এসব ব্যথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র ছাড়াই অনেকে সেবন করেন। এ জাতীয় ওষুধ নারীর ডিম ফোটা রোধ করতে পারে এবং মেয়েলি হরমোন প্রোজেসটেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
ইউনির্ভাসিটি অব বাগদাদের এমডি সামি সালমান বলেন, ‘যেসব নারী নিয়মিত এ ধরনের ওষুধ সেবন করেন এবং তাদের যদি সন্তান ধারণে সমস্যা হয় তবে চিকিৎসকের উচিত এখনই এসব ওষুধ খাওয়া থেকে তাদের বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া।’
গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয় এ বছর রোমের ইউরোপিয়ান লিগ অ্যাগেইনস্ট রিউমাটিজস কনগ্রেসে।
সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা আছে এবং কোমর ব্যথা রয়েছে এমন ৩৯ জন নারীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
পরীক্ষা চালানোর আগে নানা আনুষঙ্গিক পরীক্ষা করা হয় এসব নারীর ওপর। মাসিক চক্রের ১০ দিন পর পরীক্ষা শুরু করা হয়। গবেষকরা ডিম নিষিক্ত হওয়ার প্রস্তুতির সময় ফলিকল বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না, এই বিষয়ে নিশ্চিত হন।
এর ১০ দিন পর প্রভাব দেখার জন্য গবেষকরা তাঁদের আরেকটি আল্ট্রাসাউন্ড করেন। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যাঁরা এনএআইডিএস সেবন করেছেন, তাঁদের এই বৃদ্ধি অনেক কমে গেছে।
এরপর পরের মাসে অর্ধেক নারীকে ডাকা হয় পরীক্ষার জন্য; এরা সবাই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, তাদের এই ডিম্বোস্ফুটন অনেকটা স্বাভাবিক।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া নারীস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়, তাই গবেষণাটি আবারও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান গবেষকরা।